রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এক মুজাহিদকে স্বপ্নে জানালেন, “তোমরা দ্বিতীয় বদরের মুজাহিদ”!
ক্বারি বদর-উজ-জামান বদরের (যিনি তিন বছর জেলে ছিলেন এবং সাম্প্রতিক গুয়ান্তানামো থেকে মুক্তি পেয়েছেন) কাছ থেকে নেওয়া ইন্টারভিউ থেকে কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হল। ইন্টারভিউটি ARY ONE টিভিতে “Views on News” নামের এক প্রোগ্রামে প্রচারিত হয়েছিল ২৫ই মে, ২০০৫ এ। ইন্টারভিউটি উর্দুতে ছিল, পরবর্তীতে এক ভাই সেটা ইংলিশে অনুবাদ করেন। বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য তা বাংলায় অনুবাদ করা হল।
ইন্টারভিউ এর ট্রান্সলেশন :
আমরা (গুয়ান্তানামো‘র বন্দীরা) যেখানে নিয়মিতভাবে আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত থাকতাম এবং এভাবে আল্লাহ’র সান্নিধ্যে নিজেদের নিয়োজিত রাখতাম। অনেকেই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে স্বপ্নে সুসংবাদ দিয়ে বলতে দেখেছিলেন যে বিজয় অতি নিকটে।
এবং তারা স্বপ্নে এটাও দেখেছিলেন যে ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বলেছেন যে যারা নিজেদের নাসরানি (খ্রিস্টান) বলে দাবী করে তারা সঠিক পথের উপর নেই তারা ভুল পথে এবং শীঘ্রই তারা ধ্বংস হবে।
এক মুজাহিদ আমাকে বলেন যে তিনি একবার তীব্র শীতে বারগাম কারাগারে এ ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি স্বপ্নে দেখতে পান যে ঈসা (আলাইহি ওয়া সালাম) তার কাছে আসলেন, তার এক হাতে কুরআন এবং অপর হাতে ইঞ্জিল (বাইবেল) ছিল। মুজাহিদ ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আলিঙ্গন করতে চাইলেন এবং চুমো দিতে চাইলেন। কিন্তু ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) পিছনে সরে গেলেন। কেউ ঘোষণা করলেন যে লোকটি কুবা’র গুয়ান্তানামো‘র একজন মুজাহিদ। এরপর ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে মুসাহাফা করলেন এবং আমার কপালে চুমু দিলেন। তিনি আমার হাত ধরে তার হাতের মধ্যে রাখলেন এবং আমাকে বললেন, “বিজয়ের ব্যাপারে কোন দুঃখ কর না, বিজয় খুব নিকটে এবং নাসারা (খ্রিস্টান) ধংশ হবে। এবং আমি আসছি।”
এরপর মুজাহিদ আমাকে বললেন যে এরপর যখন ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত ধরে মুসাহাফা করলেন, আমি জেগে উঠলাম। ঘুমানোর কক্ষটি মোটেও উষ্ণ ছিল না কিন্তু আমি ঘামছিলাম।
এক আরব মুজাহিদ স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন “তুমি আহলে বদরের অন্তর্ভুক্ত” (যারা বদর জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন) মুজাহিদ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন যে বদরের সাহাবীরা তো অনেক আগেই চলে গিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, “আনতুম মিন আহলে আল বদর আস-সানী (তোমরা দ্বিতীয় বদরের দলভূক্ত) এবং বদর এর সাহাবিদের থেকে তোমার মর্যাদা অত কম নয়।”
নোট : বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৩১৩ জন সাহাবী ছিলেন পুরো ইসলামের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ মুসলিম।একইভাবে দেখা যায়, দাউদ (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে জালুতের বিরুদ্ধে জিহাদে প্রায় একই সংখ্যক মুজাহিদ ছিল।
একইভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে শেষ যুগে (বলা যায়, বর্তমানে) তার সাহাবিদের সমান সংখ্যক অনুসারী পুরষ্কারের ক্ষেত্রে সাহাবীদের একই মাপের হবে। মুজাহিদের এই সত্য স্বপ্ন এই বাস্তবতাকে আরও দৃঢ় করে। LINK
ক্বারি বদর-উজ-জামান বদরের (যিনি তিন বছর জেলে ছিলেন এবং সাম্প্রতিক গুয়ান্তানামো থেকে মুক্তি পেয়েছেন) কাছ থেকে নেওয়া ইন্টারভিউ থেকে কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা হল। ইন্টারভিউটি ARY ONE টিভিতে “Views on News” নামের এক প্রোগ্রামে প্রচারিত হয়েছিল ২৫ই মে, ২০০৫ এ। ইন্টারভিউটি উর্দুতে ছিল, পরবর্তীতে এক ভাই সেটা ইংলিশে অনুবাদ করেন। বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য তা বাংলায় অনুবাদ করা হল।
ইন্টারভিউ এর ট্রান্সলেশন :
আমরা (গুয়ান্তানামো‘র বন্দীরা) যেখানে নিয়মিতভাবে আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত থাকতাম এবং এভাবে আল্লাহ’র সান্নিধ্যে নিজেদের নিয়োজিত রাখতাম। অনেকেই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে স্বপ্নে সুসংবাদ দিয়ে বলতে দেখেছিলেন যে বিজয় অতি নিকটে।
এবং তারা স্বপ্নে এটাও দেখেছিলেন যে ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বলেছেন যে যারা নিজেদের নাসরানি (খ্রিস্টান) বলে দাবী করে তারা সঠিক পথের উপর নেই তারা ভুল পথে এবং শীঘ্রই তারা ধ্বংস হবে।
এক মুজাহিদ আমাকে বলেন যে তিনি একবার তীব্র শীতে বারগাম কারাগারে এ ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি স্বপ্নে দেখতে পান যে ঈসা (আলাইহি ওয়া সালাম) তার কাছে আসলেন, তার এক হাতে কুরআন এবং অপর হাতে ইঞ্জিল (বাইবেল) ছিল। মুজাহিদ ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আলিঙ্গন করতে চাইলেন এবং চুমো দিতে চাইলেন। কিন্তু ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) পিছনে সরে গেলেন। কেউ ঘোষণা করলেন যে লোকটি কুবা’র গুয়ান্তানামো‘র একজন মুজাহিদ। এরপর ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার হাত ধরে মুসাহাফা করলেন এবং আমার কপালে চুমু দিলেন। তিনি আমার হাত ধরে তার হাতের মধ্যে রাখলেন এবং আমাকে বললেন, “বিজয়ের ব্যাপারে কোন দুঃখ কর না, বিজয় খুব নিকটে এবং নাসারা (খ্রিস্টান) ধংশ হবে। এবং আমি আসছি।”
এরপর মুজাহিদ আমাকে বললেন যে এরপর যখন ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত ধরে মুসাহাফা করলেন, আমি জেগে উঠলাম। ঘুমানোর কক্ষটি মোটেও উষ্ণ ছিল না কিন্তু আমি ঘামছিলাম।
এক আরব মুজাহিদ স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন “তুমি আহলে বদরের অন্তর্ভুক্ত” (যারা বদর জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন) মুজাহিদ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন যে বদরের সাহাবীরা তো অনেক আগেই চলে গিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, “আনতুম মিন আহলে আল বদর আস-সানী (তোমরা দ্বিতীয় বদরের দলভূক্ত) এবং বদর এর সাহাবিদের থেকে তোমার মর্যাদা অত কম নয়।”
নোট : বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৩১৩ জন সাহাবী ছিলেন পুরো ইসলামের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ মুসলিম।একইভাবে দেখা যায়, দাউদ (আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে জালুতের বিরুদ্ধে জিহাদে প্রায় একই সংখ্যক মুজাহিদ ছিল।
একইভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে শেষ যুগে (বলা যায়, বর্তমানে) তার সাহাবিদের সমান সংখ্যক অনুসারী পুরষ্কারের ক্ষেত্রে সাহাবীদের একই মাপের হবে। মুজাহিদের এই সত্য স্বপ্ন এই বাস্তবতাকে আরও দৃঢ় করে। LINK
No comments:
Post a Comment