Thursday, July 10, 2014

ঈমানের এই জ্বলন্ত স্ফুলিঙ্গরাই - - - -

ওহোদ যুদ্ধের প্রাক্কালে। 


মহানবীর মদীনা ধ্বংসের জন্যে কালবৈশাখীর মত ধেয়ে আসা কুরাইশ বাহিনী মদীনার উপকণ্ঠে উপস্থিত।

মহানবীর নেতৃত্বে মুসলমানরা যুদ্ধযাত্রা করেছে।

ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনী। কুরাইশদের তিন হাজারের মুকাবিলায় মাত্র সাতশ’ জন।


ছোট কিশোরদের বাহিনীতে নেয়া হয়নি।

কিন্তু কয়েকজন নাছোড়বান্দ।

তবু তাদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিলেন মহানবী (সা)।

তাদের একজন রাফে নিজেকে বড় করে তোলার জন্যে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ভর করে উঁচু হয়ে নিজের বড়ত্বকে প্রমাণ করতে চাইল।

সবাই বললো, রাফে একজন উৎকৃষ্ট তীরন্দাজ। সকলের অনুরোধে মহানবী (সা) তাকে বাহিনীতে শামিল করলেন।

এটা দেখে আরেক বারক সামরা ইবনে কোন্দা ছুটে এলো মহানবীর কাছে। অভিমানী কণ্ঠে বললো, ‘কুস্তিতে রাফেকে আমি হারিয়ে দিয়ে থাকি। সে যুদ্ধের অনুমতি পেলো, আর আমাকে ফিরে যেতে হচ্ছে!’

বালকের এ্ই অভিমানে আনন্দ পেলেন মহানবী (সা)। হাসিমুখে আদর করে বললেন, লড়ো দেখি কুস্তি রাফের সাথে।

সত্যই মল্লযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো দুই বালকের মধ্যে।

জিতে গেলো অভিমানী সামরা।

মহানবী (সা) হেসে বললেন সামরাকে, বেশ তোমাকেও যুদ্ধের অনুমতি দেয় হলো।

এই সোনার টুকরোরাই, ঈমানের এই জ্বলন্ত স্ফুলিঙ্গরাই পরবর্তীকালে অর্ধেক পৃথিবীর উপর ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করেছিল।  LINK

No comments:

Post a Comment