Sunday, June 29, 2014

বোকো হারামের স্কুলছাত্রী অপহরণ এবং এর পেছনের কথা !

বোকো হারামের স্কুলছাত্রী অপহরণ এবং এর পেছনের কথা !  LINK

(নাইজেরিয়ার মুজাহিদদের পরিচয়,তাদের উপর পরিচালিত নির্মম গণহত্যার বিবরণ , স্কুলছাত্রীদের তুলে নেয়ার কারণ ইত্যাদির পাশাপাশি কুফফারদের নগ্ন চেহারা উন্মোচন করা এই মেগাপোস্টটি সবাই পড়ুন)


★★★ বোকো হারামের আসল নামঃ


বোকো হারাম নামটা তাদের নিজেদের দেয়া নাম নয়, বরং তাদের নিজেদের দেয়া নাম হচ্ছে- " জামা'আতু আহলিস সুন্নাহ লিদ-দা'ওয়াতি ওয়াল জিহাদ" ।
মিডিয়া তাদেরকে এই নাম দিয়েছে।
স্থানীয় ভাষায় 'বোকো' শব্দের অর্থ হচ্ছে, পশ্চিমে যাওয়া। আর আরবি শব্দ হারাম। বোকো হারাম শব্দ দিয়ে উদ্দেশ্য করা হয়, "পশ্চিমা শিক্ষা হারাম"। যেহেতু তারা পশ্চিমা শিক্ষার ঘোর বিরোধী তাই তাদেরকে এ নামে আখ্যায়িত করা হয়।

★★★ দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাঃ 


২০০২ সালে নাইজেরিয়ান সালাফী আলেম ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব শাইখ মুহাম্মদ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) কুফুরী শিক্ষা উচ্ছেদ করে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারের মাধ্যমে ইসলামী শরী'আহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র তথা মাদরাসা চালু করেন। নাইজেরিয়া এবং তার আশেপাশের মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ থেকে বহু ছাত্র উনার মাদরাসায় ভর্তি হতে থাকে।

★★★ দ্বীনের শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণতঃ

অল্প কয়েক বছরের মধ্যে উক্ত মাদ্রাসা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাদ্রাসার প্রতিটি ছাত্রের মধ্যে পূর্ণাংগ দ্বীন কায়েমের মানহাজ শিক্ষা দেয়া হয়। নাইজেরিয়ার ক্রুসেডার সরকার ইসলামের এই জাগরণ বুঝতে পেরে তাদেরকে দমন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।


★★★ মাদ্রাসায় সেনা অভিযান এবং নির্মম গণহত্যাঃ


২০০৯ সালে কুফফার সরকারের বিভিন্ন বাহিনী যৌথভাবে মাদ্রাসায় সামরিক অভিযান চালায়।
এ সময় ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে মাদ্রাসার প্রায় ২ হাজার ছাত্রকে হত্যা করে। 
'নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড' পত্রিকায় নিহতের সংখ্যা ১০০০(১ হাজার) এর বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে লিংক.....

পত্রিকার টেক্সট..... "the Nigerian government began
taking action. Several arrests resulted in
deadly clashes that resulted in the
deaths of more than 1000 people."
(কমেন্টের ১ নং লিংক....)

উইকিপিডিয়ায় সেই গণহত্যায় নিহত ছাত্রের সংখ্যা কমপক্ষে ৭০০ বলে উল্লেখ করেছে....
"When the government came into action,
several members of the group were
arrested in Bauchi , sparking deadly
clashes with Nigerian security forces
which led to the deaths of an estimated
700 people." (উইকিপিডিয়া )

★★★ শায়খ মুহাম্মদ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) কে হত্যাঃ 


মাদ্রাসায় নির্মম গণহত্যা চালানোর সাথে সাথে কুফফার সরকার দ্বীনের এই আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করতে শায়খ মুহাম্মদ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) কে গ্রেফতার করে বন্দী অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করে। (আল্লাহ তা'য়ালা উনাকে জান্মাতুল ফিরদাউসের সুউচ্চ মাক্বাম দান করুন।) (উইকিপিডিয়া)


★★★ নিরীহ ছাত্রদের উপর নির্মম গণহত্যার ভিডিও প্রকাশঃ


নিরীহ মাদরাসার ছাত্রদের উপর পরিচালিত বর্বরতম এই গণহত্যার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আল-জাযিরা। ভিডিওতে দেখা যায় একজন সামরিক অফিসার তার সহকর্মীকে বলছে, "মাথায় নয় বরং বুকে গুলি কর।"

ভিডিওতে আরো শোনা গেছে, "কোনো দয়া নেই, কোনো দয়া নেই।"
ভিডিওর এক অংশে ২ অফিসারের বুকের উপর নেইমপ্লেইটে তাদের নাম স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে।

ভিডিওতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে কিভাবে নিরীহ মুসলিমদেরকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
আল-জাযিরার রিপোর্ট....... ( কমেন্টের ৩ নং লিংক)


★★★ ধারাবাহিক গণহত্যা ও এমনেস্টির রিপোর্টঃ


আহলুস-সুন্নাহ জামা'আতের (বোকো হারাম) সদস্য ও সমর্থক মুসলিমদের উপর এখন পর্যন্ত ধারাবাহিক গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা 'এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল' এর রিপোর্ট অনুযায়ী, "শুধুমাত্র ২০১৩ সালের প্রথম ৬ মাসে ৯৫০ জনের বেশি বোকো হারামের সন্দেহভাজন সমর্থককে জেলখানায় বন্দী অবস্থায় হত্যা করেছে নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী ও পুলিশ।"

(তাদের উপর চালানো বর্বরতম ও লোমহর্ষক নির্যাতন নিয়ে আরেকটি পোস্ট দেয়ার চিন্তা আছে)
(কমেন্টের ৪ নং লিংকে পূর্ণ রিপোর্টটি পড়ুন)


★★★ ২০০৯ সালের গণহত্যার পূর্ব পর্যন্ত তারা ছিলো একেবারেই শান্তিপ্রিয়ঃ 


মার্কিন সামরিক একাডেমির ওয়েবসাইট 'কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার' এর বক্তব্য দেখুন,
"It has gained recent notoriety because of its transition from being a local radical Salafist group, which until 2009 had a largely quietist nature, to a Salafi-jihadi group...... "
"অর্থাৎ এই সংগঠন স্থানীয় সালাফী গ্রুপ থেকে সালাফী জিহাদী গ্রুপে রুপান্তরিত হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক কুখ্যাতি লাভ করেছে, যা ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধানত খুবই শান্তিপ্রিয় প্রকৃতির ছিল।"( কমেন্টের ২ নং লিংক.... )
'নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড' পত্রিকা এ নিয়ে একটা শিরোনামই দিয়েছে। তারা লিখেছে...... "(5.) It was a peaceful group until 2009."
অর্থাৎ ২০০৯ সাল ইহা একটি শান্তিপূর্ণ দল ছিলো।
( কমেন্টের ১ নং লিংক.... )

★★★ মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের গণহত্যার পরঃ 


নির্মম গণহত্যা ও বন্দীত্ব থেকে যারা প্রাণে বেচে গিয়েছিলো তাদের কেউ নাইজেরিয়ার পাহাড়ী এলাকায় আর কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মৌরতানিয়া,শাদ, সোমালিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়।

★★★এবার জিহাদের পূর্ণ প্রস্তুতি শুরুঃ 


পুরো বিশ্ব যখন ইসলামের সন্তানদের গণহত্যা উপভোগ করেছে,তখন অবশিষ্ট ছাত্র-শিক্ষক এবং সমর্থকদের নিয়ে গণহত্যার প্রতিশোধ এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আবু বকর শেইখ এর নেতৃত্বে মুসলিমরা জিহাদের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এদিকে সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া মুসলিমরাও ঐসব দেশে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে নাইজেরিয়ায় ফিরতে শুরু করেন।

★★★ মুজাহিদদের ১ম অপারেশন ও ৭০০ এর বেশি বন্দীকে মুক্ত করাঃ

৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সাল---
কুফফার সরকারের কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী হাজার হাজার মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশুদের মুক্তির লক্ষ্যেই তাদের ১ম অপারেশন। সফল এই অপারেশনের মাধ্যমে ৭২১ জন বন্দীকে মুক্ত করে নিয়েছিলো মুজাহিদরা।
(কমেন্টের ৫ নং লিংক)


★★★ নাইজেরিয়ার স্কুলছাত্রীদের(যাদের প্রায় সবাই খ্রিষ্টান) কেনো তুলে নেয়া হলো ? 


"নাইজেরিয়ার কুফফার সরকার আহলুস-সুন্নাহ (মিডিয়া যাদেরকে বোকো হারাম নাম দিয়েছে)
মুজাহিদদের পরিবার ও সমর্থক হাজার হাজার নারী ও শিশুদের বন্দী করে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। আর এ ব্যাপারে কেউ কোনো কথা বলছে না। অতএব আমরা তাদেরকে মুক্ত করতে চাই। "
'আস-সাওয়ারীম মিডিয়া ফাউন্ডেশন' নাইজেরিয়ার একজন মুজাহিদের সাক্ষাৎকার নেন। সেই সাক্ষাৎকারে স্কুলছাত্রীদের কেনো তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
( কমেন্টের ৬ নং লিংক.... )


★★★ মুজাহিদরা কী খুব খারাপ ??


বিশ্ব কুফফার ও দালাল মিডিয়া তাদেরকে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যে, এসব প্রচারণা দেখলে হয়তো মনে হবে, তারা মানুষ নয় বরং ভিন্ন জগতের কোনো দানব(!) হয়তো !
অথচ মার্কিন মিলিটারি একাডেমির পত্রিকার রিপোর্ট কী বলে দেখুন,
" জানা গেছে নাইজেরিয়ার সরকার সেনাবাহিনীর মুসলিম সদস্যদেরকে মুজাহিদদের মধ্যে অনুপ্রবেশের জন্য পাঠালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুজাহিদদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উনাদের সাথে যোগ দিয়েছে।"
মূল টেক্সট......
There are reports that even northern Muslim
soldiers sent to infiltrate the group have
joined it.

( কমেন্টের ২ নং লিংক )

★★★ পরিশেষে নাইজেরিয়ার আহলুস-সুন্নাহর মুজাহিদ আবু সুমাইয়ার উক্তি দিয়ে শেষ করবো,

"আমরা কোনো আপোষ করবো না। হয় আল্লাহ তা'য়ালার শরী'আহ কায়েম হবে অন্যথায় আমরা শাহাদাত বরণ করবো " (আল্লাহু আকবার)।

No comments:

Post a Comment