আফগানিস্তান
তালিবান বনাম আমেরিকা
ন্যাটোজোট সহ ৪৯ টি দেশ
তালিবান নামক ছোট একটি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৪৯ টি দেশের অত্যাধুনিক লাখ লাখ আধুনিক প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী, অত্যাধুনিক টেকনোলজি, অস্ত্র-সস্ত্র, ট্যাংক, জঙ্গি, বিমান ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতি সপ্তাহে খরচ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে প্রতিদিন প্রায় ২৯ কোটি ডলার! টাকাতে হিসেব করলে 1 us dolar= 80 tk ধরলে প্রতিদিন ২হাজার ৩২০ কোটি টাকা খরচ। সেই ৪৯টি দেশ কারা কারা? তারা হলঃআলবেনিয়া, আরমেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এল সালভাদর, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জর্ডান, রিপাবলিক অব কোরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবারগ, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মন্তেনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া রিপাবলিক অফ মেসিডোনিয়া, টোঙ্গা, তুর্কি, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। আর এদের নাম দেওয়া হয়েছিল ISAF (International Security Assistance Force).
সেই তালিবান কারা? যারা ১ বেলা চা দিয়ে রুটি ভিজিয়ে খায় তো বাকি ২ বেলা না খেয়ে থাকে। যাদের দুই পায়ে এক জোড়া স্যান্ডেল পড়ারও সামর্থ্য ছিলনা। সেই তালিবানদের বিরুদ্ধে ৪৯ টি দেশ।
ফলাফল? ফলাফল হল ৪৯ টি দেশ গরু হারা হেরে, লজ্জাসকর পরাজয় মেনে পালাচ্ছে আফগানিস্তান থেকে। প্রচুর সৈন্য হারানোর পর এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির পর ইতিমধ্যে বেশ অনেকগুলি দেশ তাদের বাহিনী বাধ্য হয়ে সরিয়ে নিয়েছে। আমেরিকা এই বছরের মধ্যে সব সৈন্য সরানোর ঘোষণা দিয়েছে। কারণ কি এই পরাজয়ের? ৪৯ টি দেশ মিলে সামান্য কিছু "সেকেলে/ ক্ষেত/ বর্বর/ জঙ্গি" দের সাথে পারল না????????????!! কি সেই কারণ?
আসুন কিছু হাদিস দেখিঃ
“পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)
“যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”। (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)
“ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।
(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন),
“শেষ পর্যন্ত আল্লাহ পাক পূর্বদিক থেকে কালো পতাকাবাহী লোকদেরকে পাঠাবেন। যারা ঐ কালো পতাকাবাহী লোকদেরকে সাহায্য করল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে সাহায্য করবেন। যে তাকে ছেড়ে দিল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে ছেড়ে দেবেন। তারপর ঐ কালো পতাকাবাহী দল এমন এক ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) এর কাছে আসবে – যার নাম আমার নামের মতো হবে। তারা ঐ ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) এর উপর শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সোপর্দ করবে। সুতরাং, আল্লাহ তায়ালাও তাদেরকে সহযোগিতা করবেন”।
(আলফিতান, নুয়া’ইম ইবনে হাম্মাদঃ ৮৬০)
“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)
খোরাসান বলতে আল্লাহর রাসুল (সা) এর সময়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তানের কিছু অংশ, ইরানের কিছু অংশ, উজবেকিস্তানের কিছু অংশ বুঝানো হত।
তবে আফগানিস্তান is the HEART of খোরাসান। LINK
No comments:
Post a Comment