Thursday, March 20, 2014

নবজাতকের কন্ঠে দাজ্জালের আগমন বার্তা - ২০০৪

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 
“মহাযুদ্ধ ও কুস্তুন্তুনিয়া (ইস্তাম্বুল) জয়ের মধ্যখানে সময় যাবে ছয় বছর। সপ্তম বছরে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।"  -------- (ইবনে মাজা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৭) 


নবীজি (সাঃ) বলেন, ‘দাজ্জাল দুনিয়াতে অবস্থান করবে চল্লিশ দিন। প্রথম একটি দিন এক বছরের সমান হবে। দ্বিতীয় দিনটি এক মাসের সমান হবে। তৃতীয় দিনটি এক সপ্তাহের সমান হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো সাধারণ দিনের মতো হবে’।  ------- (সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২৫০)
অর্থাৎ ৩৬৫+৩০+৭+৩৭=৪৩৯ দিন।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক বর্ণনা করেছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করলে ঈমানদার ব্যক্তিদের মধ্যে এক ব্যক্তি তার কাছে যাবে। তার সাথে দাজ্জালের প্রহরীদের দেখা হবে।

তারা তাকে বলবে, ‘কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করছ’?
সে বলবে, ‘আমি এই আবির্ভূত ব্যক্তির কাছে যেতে ইচ্ছা করছি’।
প্রহরীরা বলবে, ‘আমাদের রবের প্রতি কি তোমাদের ঈমান নেই’?
সে বলবে, ‘আমাদের রবের ব্যাপারে তো কোনরূপ গোপনীয়তা নেই’।
তারা বলবে, ‘একে হত্যা কর’।

কিন্তু এদের মধ্যে কেউ কেউ বলাবলি করবে, ‘তোমাদের রব কি তোমাদেরকে তার অগোচরে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করতে নিষেধ করেননি’?
সুতরাং তারা তাকে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাবে। যখন মু’মিন ব্যক্তি দাজ্জালকে দেখবে তখন বলবে, ‘হে লোক সকল! এই তো সেই দাজ্জাল যার প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন’।
এরপর দাজ্জালের নির্দেশে তার দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। তার পেট ও পিঠ উন্মুক্ত করে পিটানো হবে আর বলা হবে, ‘তুমি কি আমার প্রতি ঈমান স্থাপন কর না’?
উত্তরে মু’মিন ব্যক্তি বলবে, ‘তুমিই তো সেই মিথ্যাবাদী মাসীহ দাজ্জাল’।
সুতরাং তার নির্দেশে মু’মিন ব্যক্তির মাথার সিঁথি হতে দু’পায়ের মধ্য পর্যন্ত করাত দিয়ে চিরে দু’টুকরা করা হবে। দাজ্জাল তার দেহের এ দুই অংশের মধ্য দিয়ে এদিক হতে ওদিকে গমন করবে। এরপর সে মু’মিন ব্যক্তির দেহকে সম্বোধন করে বলবে, ‘পূর্বের মত হয়ে যাও’।
তখন সে আবার পরিপূর্ণ মানব হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। আবার সে বলবে, 'এখন কি তুমি ঈমান পোষণ কর?'
মু’মিন মানবটি বলবে, ‘তোমার সম্পর্কে এখন আমি আরো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম’।
সে মানবদেরকে ডেকে বলবে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমার পর এ আর কারো কিছু করতে পারবে না’।

দাজ্জাল পুনরায় তাকে হত্যা করতে চাইবে। কিন্তু আল্লাহ তার ঘাড়কে গলার নিচের হাড় পর্যন্ত পিতলে মুড়িয়ে দেবেন। ফলে সে তাকে হত্যা করার আর কোন উপায় পাবে না। বাধ্য হয়ে সে তার দু’হাত ও দু’পা ধরে ছুঁড়ে ফেলবে। মানুষে ধারণা করবে দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সে বেহেশতে নিক্ষিপ্ত হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘এই ব্যক্তি বিশ্ব জগতের রব আল্লাহর কাছে মানবের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত স্তরের শহীদের মর্যাদা লাভ করবে’।  ----- ( মুসলিম) 

এখন আপনাদেরকে আমি একটি বিস্ময়কর ঘটনা জানাতে চাই। গত ২০০৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী প্যালেস্টাইনের টিভি চ্যানেল আল আকসা (Al Aqsa TV) তে সেখানকার একজন আলেম ঈসা বাদওয়ান এক সাক্ষাতকারে এক বিস্ময়কর তথ্য দেন। যা নিশ্চিতভাবে মুসলিম জাহানের জন্য ভাবার বিষয় এবং সতর্কবার্তা।

এখানে সাক্ষাতকারের অংশটি তুলে ধরছি।

ঈসা বাদওয়ানঃ একজন লোক, যাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং বিশ্বাস করি, সঙ্গত কারণেই আমি তার নাম বলতে চাচ্ছি না – তো তিনি একদিন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একজন বৃদ্ধ স্ত্রীলোক তাকে থামালো এবং ঐ স্ত্রীলোককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল। কারণ, ঐ বৃদ্ধার মেয়ে ঐ হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছে। লোকটি ঐ বৃদ্ধার অনুরোধটি রাখল এবং তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে হাসপাতালের বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করল। এক ঘণ্টা করে ঐ বৃদ্ধা তার মেয়ে এবং মেয়ের নবজাতক শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হয়ে গাড়িতে উঠল। যখন তারা গাড়িতে উঠল, তখন ঐ নবজাতক সবাইকে অবাক করে দিয়ে সালাম দিল। আমরা অবাক হয়ে সালামের উত্তর দিলাম।

সাক্ষাতকার গ্রহণকারীঃ নবজাতক কথা বলে উঠল?

ঈসা বাদওয়ানঃ হ্যাঁ, নবজাতক শিশুটি। এবং আমরা এটা শেখ নিজারসহ অন্যান্য আলেমকে জানিয়েছিলাম তখন। তো লোকটি যা বলল তা হল যে, শিশুটি বলল, “আমিই হলাম সেই বালক যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে, এরপরে আর কাউকে সে হত্যা করতে পারবে না।” এবং আমরা হাদিস থেকে জানি যে, দাজ্জাল যাকে হত্যা করে জীবিত করবে এবং আবার হত্যা করবে কিন্তু পরে আর জীবিত করতে পারবে না। সে হবে একজন যুবক। যাকে শ্রেষ্ঠ শহীদ বলা হয়েছে। আর যুবক বলতে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সকেই বুঝায়।
আমি মনে করি, এই ঘটনা আমাদের জন্য অনেক খুশির খবর বহন করে। কারণ, আমরা হাদিস থেকে জানি যে, দাজ্জালের আগমন ঘটবে ইমাম মাহদির উপস্থিতিতে ইস্তাম্বুল জয়ের পর।
সাক্ষাতকার গ্রহণকারীঃ এখন সেই বাচ্চার কি অবস্থা?
ঈসা বাদওয়ানঃ হ্যাঁ, এখন আমরা আলেমরা তাকে চিনি। এবং আমরা তার খেয়াল রাখছি। আমি সব মানুষকে এবং সব আলেমদেরকে জানাতে চাই যে, বিজয় অতি নিকটে। ইমাম মাহদি এখন আমাদের মাঝেই অবস্থান করছে (এই বাচ্চার জন্মের উপর ভিত্তি করে) ইনশাল্লাহ, প্যালেস্টাইনবাসী, খুব শিগগিরই এ বিজয়ের সাক্ষী হবে এবং এই ধর্মকে (ইসলামকে) ও এর আলোকে ছড়িয়ে দিবে।
(সাক্ষাতকারের অংশ বিশেষ শেষ)

এই শিশুটির জন্ম হয় ২০০৪ সালে। আর উদ্বিগ্নের বিষয় হল, ২০০৮ সালে এই সাক্ষাতকার জনসম্মুখে প্রকাশ হবার কয়েক মাস পর ২০০৮/২০০৯ সালে ইসরাইল রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ ও বোম্বিং শুরু করে ১৪০০ শিশু হত্যা করে এবং প্রায় ৪০০০ শিশুকে আহত করে। শুধু তাই নয়, ইসরাইল এই সাক্ষাতকারে উল্লেখিত আলেম শেখ নিজারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষাতকারের ১১ মাস পরে এফ ১৬ বিমান দিয়ে ২০০০ পাউন্ডের বোমা নিক্ষেপ করে। যার ফলে শেখ নিজার তার চার স্ত্রী ও এগার সন্তানসহ শহীদ হন। শেখ নিজার ছিলেন গাজার অন্যতম প্রভাবশালী আলেম। তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমাম সাউদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বীন শিক্ষা লাভ করেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসরাইলের সাথে যুদ্ধরত আল কাসসাম মুজাহিদ ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কমান্ডারও ছিলেন।

২০০৪ সনে জন্ম গ্রহণকারী এই বাচ্চাই যদি সেই সে যুবক হয়, তবে সে ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবক হবে ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালে। দাজ্জাল দুনিয়াতে আত্মপ্রকাশের পর ৪৩৯ দিন বা এক বছরের একটু বেশি সময় অবস্থান করবে এবং এই সময়ের মধ্যে যুবককে হত্যা করবে। মহাযুদ্ধের সপ্তম বছরে যেহেতু দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হবে, তাতে মহাযুদ্ধের সম্ভাব্য সাল আসে ২০১৮ থেকে ২০২২, আর মহাযুদ্ধ ইমাম মাহদির উপস্থিতিতেই হবে।

যা হোক, এগুলো সবই শুধু ঐ বাচ্চার দাবীর উপর ভিত্তি করে হাদিসের মাধ্যমে গণনা। কিন্তু একমাত্র আল্লাহই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানেন।

তবে, অবশ্যই সতর্ক বিশ্বাসী বান্দা হিসাবে আমরা আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ করব এবং সজাগ দৃষ্টি রাখবো হাদিসে বর্ণিত মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সর্বোপরি সামরিক পরিস্থিতির উপর। ====>>  LINK
====================================================================


"তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধঃ মাহদি ও দাজ্জাল" 

মূলঃ মাওলানা আসেম ওমর 
=====================================================================

The Prophesied Child Born who will Confront the Dajjal / Antichrist ==>> LINK



The Child was said to be born on 2004 in Palestine can it be the Reason why Isreal bombed Gaza in 2009 killing Children 1400 and injured over 4000 with bomb, gases etc? Inshallah this is Correct
Hadith - Bukhari 9.245, Narrated Abu Said

One day Allah's Apostle narrated to us a long narration about Ad-Dajjal and among the things he narrated to us, was: "Ad-Dajjal will come, and he will be forbidden to enter the mountain passes of Medina. He will encamp in one of the salt areas neighboring Medina and there will appear to him a man who will be the best or one of the best of the people. He will say 'I testify that you are Ad-Dajjal whose story Allah's Apostle has told us.' Ad-Dajjal will say (to his audience), 'Look, if I kill this man and then give him life, will you have any doubt about my claim?' They will reply, 'No,' Then Ad-Dajjal will kill that man and then will make him alive. The man will say, 'By Allah, now I recognize you more than ever!' Ad-Dajjal will then try to kill him (again) but he will not be given the power to do so." 

adith - Muslim #6924, Narrated Abu Hurayrah

Allah's Apostle said: The Last Hour will not come until the Romans land at al-A'maq or in Dabiq. An army consisting of the best (soldiers) of the people on Earth at that time will come from Medina (to oppose them). When they arrange themselves in ranks, the Romans will say: Do not stand between us and those (Muslims) who took prisoners from among us. Let us fight them. The Muslims will say: Nay, by Allah, we shall never turn aside from you and from our brethren so that you may fight them. They will then fight and a third (part) of the army, whom Allah will never forgive, will run away. A third (part of the army), which will be constituted of excellent martyrs in Allah's eyes, would be killed. The third who will never be put on trial will win and they will be the conquerors of Constantinople. As they are busy in distributing the spoils of war (amongst themselves) after hanging their swords by the olive trees, Satan will cry: The Dajjal has taken your place among your families. They will then come out, but it will be of no avail. When they reach Syria, he will come out while they are still preparing themselves for battle, drawing up the ranks. Certainly, the time of prayer will come and then Jesus (peace be upon him), son of Mary, descend and will lead them in prayer. When the enemy of Allah see him, it will (disappear) just as salt dissolves in water and if he (Jesus) were not to confront them at all, even then it would dissolve completely. Allah would kill them by his hand and he would show them their blood on his lance (the lance of Jesus Christ).
=====================================================================
Following are excerpts from an interview with Palestinian cleric Issa Badwan, which aired on Al-Aqsa TV on February 6, 2008. ===>>

Issa Badwan: Someone who is well known and whom I trust - there is no need to mention his name - told me that four years ago, when he was driving his car, he saw an old woman, who stopped him and asked him to take her to hospital, so she could pick up her daughter, who had just given birth. He did her a favor and took her there, and waited for an hour at the entrance. The woman came out, with her daughter and grandson, and when they got into the car, the baby started talking, and said: "Peace and Allah's mercy upon you." They greeted him back.

Interviewer: The newborn baby?

Issa Badwan: Yes, the baby. The baby said... This is what the man told me, and we reported this to Sheik Nizar and to the Islamic Scholars Association... The newborn baby said: "I am the man who will be killed [sic] by the Antichrist, who will not rule over anyone again." According to the Prophet's hadith, this man would be 18-20 years old. These are good tidings.

Of course, the coming of the Antichrist will be preceded by the conquests of Rome in Italy, and Constantinople, like the Prophet told us. These places will be conquered only by the righteous Mahdi. The Mahdi is from Palestine, as conveyed by Mu'adh bin Jabal, Sa'd bin Abi Waqqas, and Abdullah bin Mas'ud, who were all great imams and scholars.

Interviewer: Is anyone following what's going on with this child?


Issa Badwan: Yes, now his identity is known, and the brothers follow and take good care of him. I would like to convey to the people, as well as to the scholars, that these are times of victory, with the grace of Allah, that the promised Mahdi lives among us, that the people of Palestine will be the standard bearers, who will carry this religion forth and spread its guidance and light.

No comments:

Post a Comment