হযরত আয়েশা রা. কে মুরতাদ আখ্যা (নাউজুবিল্লাহ )
************************************* LINKইংরেজদের সময়ে সৃষ্ট তথাকথিত ভ্রান্ত মতবাদ আহলে হাদীসের পুরোধা হলো মৌলিভি আব্দুল হক বেনাসরী। পথভ্রষ্ট এই লোকটি এতটা সাহাবী বিদ্বেষী ছিলো যে সে হযরত আয়েশা রা. কে মুরতাদ আখ্যায়িত করে।
ভারত উপমহাদেশে আহলে হাদীস ফেতনাটি সাহাবী বিদ্বেষী এই পথভ্রষ্ট্রের হাতে জন্ম লাভ করে। আব্দুল হক বেনারসী মূলত: হিন্দু ছিলো। আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ইহুদীর মতো লোক দেখানো ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে থাকে। "মুযাহেরে হক" কিতাবের স্বনামধন্য লেখক মাওলানা কুতুব উদ্দীন তার "তুহফাতুল আরব ওয়াল আযম"গ্রন্থে লিখেন- "সৈয়দ আহমদ শহীদ রহঃ,মাওলানা ইসমাইল শহীদ রহঃ ও মাওলানা আব্দুল হাই রহঃ পাঞ্জাবে আগমন করার পরপর্ই কতিপয় বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীর সমন্বয়ে চার মাযহাবের ইমামগণের তাকলীদ অস্বীকারকারী নতুন ফিরকাটির সুত্রপাত লক্ষ করা যায়। যারা হযরত সায়্য়িদ আহমদ শহিদ রহঃ-এর মুজাহিদ বাহিনীর বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্য ছিলেন,এদের মুখপাত্র ছিলেন মৌলভী আব্দুল হক বেনারসী(১২৭৫ হিঃ) তার এই ধরনের অসংখ্য ভ্রান্ত কর্মকান্ডের কারণে সায়্য়িদ আহমদ শহিদ রহঃ১২৪৬ হিজরীতে তাকে মুজাহিদ বাহিনী থেকে বহিষ্কার করেন। তখন্ই গোটা ভারতবর্ষের সকল ধর্মপ্রাণ জনগন, বিশেষ করে শহিদ রহঃ এর খলীফা ও মুরীদগন হারামাইন শরিফাইনের তদানিন্তন উলামায়ে কেরাম ও মুফতিগণের নিকট এ ব্যপ্যারে ফতওয়া তলব করেন।ফলে সেখানখার তৎকালীন চার মাযহাবের সম্মানিত মুফতিগন ও অন্যান্য উলামায়ে কেরাম সর্বসম্মতিক্রমে মৌলবী আব্দুল হক বেনারসী ও তার অনুসারীদেরকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ফিরকা বলে অভিহিত করেন করেন এবং বেনারসীকে কতল(হত্যা)করার নির্দেশ প্রদান করেন।(এ ফতওয়া ১২৫৪ হিজরীতে তাম্বীহুদ্দাল্লীন নামে প্রকাশ করা হয়). বেনারসী পলায়ন করত ঃ কোনভাবে আত্নরক্ষা পান। সেখান থেকে গিয়ে তিনি নবআবিষ্কৃত দলের প্রধান হয়ে সরলমনা জনসাধারণের মধ্যে তার ভ্রান্ত মতবাদ ছড়াতে থাকে।" (তুহফাতুল আরব ওয়াল আজম, পৃঃ১৬, খঃ২; আল-নাজাতুল কামেলা, পৃঃ২১৪; তম্বীহুদ্দাল্লীন, পৃঃ৩১)
আহলে হাদীস আলেম আব্দুর রহমান পানিপত্তি তার কাশফুল হিজাব বইয়ে লিখেছে,
" মৌলভী আব্দুল হক বেনারসী প্রকাশ্যে বলেছে যে, আয়েশা রা. হযরত আলীর সাথে যুদ্ধ করেছে। তিনি যদি তওবা না করে মারা গিয়ে থাকেন, তাহল তিনি মুরতাদ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্য একটি মজলিশে সে বলেছে যে, আমাদের চেয়ে সাহাবায়ে কেরামের ইলম কম ছিলো। তাদের এক এক জন চার পাচটা হাদীস জানতেন, আমরা সব হাদীস জানি।"
সূত্র: কাশফুল হিজাব, পৃ.৪২, কারী আব্দুর রহমান পানিপতি।
প্রমাণ দেখুন,
নিচে প্রমাণ দেখুন:
No comments:
Post a Comment