Source Link
তাদের গ্রেফতারির কারণ
শায়খ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রাহমান আল
আরিফী হাফিজাহুল্লাহ।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণভোমরা। বক্তব্য
লিখনীতে অনন্য। বংশীয় দিক
থেকে হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ
রাযিয়াল্লাহু'র বংশধর।
মিসরের বর্তমান ফেরআউন সিসি যখন
ডক্টর মুরসির পতন
ঘটিয়ে সে দেশে গণহত্যা শুরু করে।
তখন তিনি এর
বিরুদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য দেন।
এর কারণেই তাকে গ্রেফতার
করে সৌদী মুনাফিক সরকার।
তাকে একদিন
জেলে আটকে রেখে মিসরের
আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলার
দস্তখত নিয়ে মুক্তি দেয়।
তার গ্রেফতারির কারণ স্পষ্ট। কারণ
সৌদি সরকার ফেরআউন
সিসিকে সমর্থন
দিয়েছে এবং আর্থিক সাহায্য
করেছে।
এভাবে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন
আলেমকে সত্য বলার অপরাধে,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার
কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখানে কয়েকজন আলেমের
গ্রেফতারির কারণ উল্লেখ
করা হলো।
শায়খ সুলায়মান উলওয়ান
হাফিজাহুল্লাহ:
১৯৬৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। কাসীম
শহরে। বিশিষ্ট আলেম ও মুহাদ্দিস।
লিখনীতেও অনন্য।
তার অপরাধ হচ্ছে ৫৩ টি কারণ
দেখিয়ে ফেদায়ী হামলা জায়েয
বলে ফতোয়া দেয়া।
ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ
আফগানিস্তানের পতনের পর জিহাদ
ফরজ আইন বলা এবং আফগান
জিহাদে অংশগ্রহণের দাওয়াত
দেওয়া।
২০০৪ সালে তাকে গ্রেফতার
করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার এখন নয় বছর
হয়ে গেলো। এরমধ্যে ধারাবাহিক
ছয় বছর আপন স্ত্রীর সাথেও
দেখা করতে পারেন নি।
শায়খ খালিদ আর রাশিদ
হাফিযাহুল্লাহ:
অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় ওয়াজ
করতেন। ইয়া উম্মাতা মুহাম্মদ
(হে মুহাম্মদের উম্মতেরা),
রাআইতুন্নাবীয়্য
া ইয়াবকী(আমি নবীজীকে কাদতে দেখেছি)
সহ বিভিন্ন শিরোনামে তার বেশ
কয়েকটি বক্তব্য আছে।
এইসব বক্তব্যে তিনি উম্মাহের
বর্তমান অবস্থা, বুশের ইসলামের
বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণার কথা অত্যন্ত
মর্মস্পর্শী ভাষায় তুলে ধরেন।
ব্যস, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৫
সালে। দেওয়া হয় ১৫ বছরের জেল।
আজ
অবধি তিনি কারাগারে আছেন।
তার পরিবারের উপরও
চলছে নির্যাতন।
শায়খ নাসির আল ফাহাদ
হাফিযাহুল্লাহ:
তিনি বেশ ভালো লিখতেন।
তিনি অনেক বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন,
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য …
• আত-তিবিয়ান ফি কুফরি মান আ'আন
আল-আম্রিকান
( ﺍﻟﺘﺒﻴﺎﻥ ﻓﻲ ﻛﻔﺮ ﻣﻦ ﺃﻋﺎﻥ ﺍﻷﻣﺮﻳﻜﺎﻥ )
-- যারা আমেরিকাকে সাহায্য
করে তাদের স্পষ্ট কুফরি ( মুদ্রিত )
• রিসালাহ ফি হুকমি ইসতিখদাম
আসলিহাত আল-দামার আল-শামিল
দিদ আল-কুফফার - গনবিধ্বংসী অস্ত্র
( Weapon of Mass Destruction )
ব্যাবহারের
বৈধতা ( মুদ্রিত ও প্রকাশিত : ২১ মে,
২০০৩ )
ব্যস, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৭
সালে একবার অন্যবার ২০০৩ সালে।
এখন পর্যন্ত
তিনি কারাগারে আছেন।
শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ
মুহাইসিনি হাফিযাহুল্লাহ:
তিনি মসজিদে নববীর ইমাম ছিলেন।
গাদ্দাফি নিহত হবার পর
তিনি আরবের দালাল শাসকদের পতন
কামনা করে দুআ করেন। এতেই
তাকে মদীনার মসজিদ
থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি সিরিয়ায়
মুজাহিদফ্রন্ট আহরারুশ শামের
হয়ে জিহাদরত আছেন।
উপরের আলোচনায় যদি একটু
চিন্তা করি তাহলে বুঝতে পারবো যে,
তাদের গ্রেফতারির কারণ
হচ্ছে পশ্চিমা স্বার্থের
বিরুদ্ধে কথা বলা, জিহাদের
কথা বলা, সত্যকে তুলে ধরা।
আল্লাহ তাআলা তাদের সহ সব
নির্দোষ মুজাহিদ-আলেমদেরকে ওই
মুনাফিক জালেমের কারাগার
থেকে মুক্তি দান করুন
তাদের গ্রেফতারির কারণ
হচ্ছে পশ্চিমা স্বার্থের
বিরুদ্ধে কথা বলা,
জিহাদের কথা বলা,
সত্যকে তুলে ধরা।
===============>>>
শায়খ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রাহমান আলআরিফী হাফিজাহুল্লাহ।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণভোমরা। বক্তব্য
লিখনীতে অনন্য। বংশীয় দিক
থেকে হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ
রাযিয়াল্লাহু'র বংশধর।
মিসরের বর্তমান ফেরআউন সিসি যখন
ডক্টর মুরসির পতন
ঘটিয়ে সে দেশে গণহত্যা শুরু করে।
তখন তিনি এর
বিরুদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য দেন।
এর কারণেই তাকে গ্রেফতার
করে সৌদী মুনাফিক সরকার।
তাকে একদিন
জেলে আটকে রেখে মিসরের
আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলার
দস্তখত নিয়ে মুক্তি দেয়।
তার গ্রেফতারির কারণ স্পষ্ট। কারণ
সৌদি সরকার ফেরআউন
সিসিকে সমর্থন
দিয়েছে এবং আর্থিক সাহায্য
করেছে।
এভাবে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন
আলেমকে সত্য বলার অপরাধে,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার
কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখানে কয়েকজন আলেমের
গ্রেফতারির কারণ উল্লেখ
করা হলো।
শায়খ সুলায়মান উলওয়ান
হাফিজাহুল্লাহ:
১৯৬৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। কাসীম
শহরে। বিশিষ্ট আলেম ও মুহাদ্দিস।
লিখনীতেও অনন্য।
তার অপরাধ হচ্ছে ৫৩ টি কারণ
দেখিয়ে ফেদায়ী হামলা জায়েয
বলে ফতোয়া দেয়া।
ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ
আফগানিস্তানের পতনের পর জিহাদ
ফরজ আইন বলা এবং আফগান
জিহাদে অংশগ্রহণের দাওয়াত
দেওয়া।
২০০৪ সালে তাকে গ্রেফতার
করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার এখন নয় বছর
হয়ে গেলো। এরমধ্যে ধারাবাহিক
ছয় বছর আপন স্ত্রীর সাথেও
দেখা করতে পারেন নি।
শায়খ খালিদ আর রাশিদ
হাফিযাহুল্লাহ:
অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় ওয়াজ
করতেন। ইয়া উম্মাতা মুহাম্মদ
(হে মুহাম্মদের উম্মতেরা),
রাআইতুন্নাবীয়্য
া ইয়াবকী(আমি নবীজীকে কাদতে দেখেছি)
সহ বিভিন্ন শিরোনামে তার বেশ
কয়েকটি বক্তব্য আছে।
এইসব বক্তব্যে তিনি উম্মাহের
বর্তমান অবস্থা, বুশের ইসলামের
বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণার কথা অত্যন্ত
মর্মস্পর্শী ভাষায় তুলে ধরেন।
ব্যস, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৫
সালে। দেওয়া হয় ১৫ বছরের জেল।
আজ
অবধি তিনি কারাগারে আছেন।
তার পরিবারের উপরও
চলছে নির্যাতন।
শায়খ নাসির আল ফাহাদ
হাফিযাহুল্লাহ:
তিনি বেশ ভালো লিখতেন।
তিনি অনেক বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন,
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য …
• আত-তিবিয়ান ফি কুফরি মান আ'আন
আল-আম্রিকান
( ﺍﻟﺘﺒﻴﺎﻥ ﻓﻲ ﻛﻔﺮ ﻣﻦ ﺃﻋﺎﻥ ﺍﻷﻣﺮﻳﻜﺎﻥ )
-- যারা আমেরিকাকে সাহায্য
করে তাদের স্পষ্ট কুফরি ( মুদ্রিত )
• রিসালাহ ফি হুকমি ইসতিখদাম
আসলিহাত আল-দামার আল-শামিল
দিদ আল-কুফফার - গনবিধ্বংসী অস্ত্র
( Weapon of Mass Destruction )
ব্যাবহারের
বৈধতা ( মুদ্রিত ও প্রকাশিত : ২১ মে,
২০০৩ )
ব্যস, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৭
সালে একবার অন্যবার ২০০৩ সালে।
এখন পর্যন্ত
তিনি কারাগারে আছেন।
শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ
মুহাইসিনি হাফিযাহুল্লাহ:
তিনি মসজিদে নববীর ইমাম ছিলেন।
গাদ্দাফি নিহত হবার পর
তিনি আরবের দালাল শাসকদের পতন
কামনা করে দুআ করেন। এতেই
তাকে মদীনার মসজিদ
থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি সিরিয়ায়
মুজাহিদফ্রন্ট আহরারুশ শামের
হয়ে জিহাদরত আছেন।
উপরের আলোচনায় যদি একটু
চিন্তা করি তাহলে বুঝতে পারবো যে,
তাদের গ্রেফতারির কারণ
হচ্ছে পশ্চিমা স্বার্থের
বিরুদ্ধে কথা বলা, জিহাদের
কথা বলা, সত্যকে তুলে ধরা।
আল্লাহ তাআলা তাদের সহ সব
নির্দোষ মুজাহিদ-আলেমদেরকে ওই
মুনাফিক জালেমের কারাগার
থেকে মুক্তি দান করুন
No comments:
Post a Comment