Monday, April 3, 2017

গাজী ইলমুদ্দীন

একটি ঘটনা ঘটেছিল ১৯২৬ সালে। স্বামী সরদানন্দ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ব্যঙ্গ করে একটি বই প্রকাশ করে। নাম, রঙ্গিলা রসুল। তার এমন স্পর্ধায় অখণ্ড ভারতের লক্ষ লক্ষ মুসলমান বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। ‘গাজী ইলমুদ্দীন’ নামের এক নওজোয়ান তখন এতোটাই ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে যে, ওই দুর্ভাগাকে নিজ হাতে হত্যা করে। 

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগে ইংরেজ সরকার তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
গাজী ইলমুদ্দীনের এই অসীম সাহসিকতা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলো। অখ্যাত এই যুবক মহাকবি আল্লামা ইকবালকে পর্যন্ত মুগ্ধ করেছিলেন। তিনি ওই যুবকের প্রশংসাসূচক কবিতা লেখেন।
গাজী ইলমুদ্দীনের এ কাজ দু’ ব্যক্তির পসন্দ হয়নি। একজন হলো, মির্যা মাহমুদ কাদিয়ানি। সে সমালোচনা করে লেখে,
‘নবীদের সম্মান রক্ষা আইন ভঙ্গ করার মাধ্যমে হতে পারে না। তিনি আবার কেমন নবী, যেই নবীর সম্মান বাঁচাতে হাত রক্তে রঞ্জিত করতে হয়।’
মির্যা মাহমুদ কাদিয়ানি এ কথাগুলো বলেছিলো ১৯২৯ সালের ১৯ এপ্রিল। তথ্যসূত্রের জন্যে দেখুন, ‘খুতুবায়ে জুমুআহ, মির্যা মাহমুদ আহমদ, আখবারুল ফযল কাদিয়ান, খণ্ড- ১৬, পৃষ্ঠা- ৭-৮
তার প্রায় এক শ বছর পর ভারতে এক শান্তিবাদী #আল্লামার অভ্যূদয় ঘটে। তিনি গাজী ইলমুদ্দীনের এই আত্মত্যাগের সমালোচনা করে বলেন, 
هوا يه كه ملك كے تاريخ ميں اس كو شهيد كا مقام ديا گيا، حقيقت مىں اس قسم كے كسى عمل كو ناموس رسالت كے نام پر بے فائده جان دينا تو كه سكتے هيں، مگر اس كو ناموس رسالت كى حفاظت كا نام نهيں ديا جا سكتا. يه قربانى نهيں نادانى هے.
অনুবাদ : ‘এরপর এমনটি ঘটলো যে, দেশের ইতিহাসে তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে এ ধরনের কাজকে রাসূলের ইজ্জতের নামে অর্থহীন জীবন খোয়ানো বলা যেতে পারে; কিন্তু একে রাসূলের সম্মান রক্ষার পদক্ষেপ বলা সমীচিন হবে না। এটি আত্মত্যাগ নয়; এটি নির্বুদ্ধিতা’।
বলুন, কে সেই #আল্লামা?
Source LINK 

1 comment:

  1. Thanks for taking the time and writing this post Well explained.. The simplest language you use when writing articles is appreciated.The information you give will prove to be of great value to me,I hope that. Thanks for sharing this amazing information

    ReplyDelete